সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন। রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের (ফ্লাইট নম্বর টিজি-৩৩৯) একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দর থানা সূত্রে কালবেলা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নামার পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে হুইলচেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান তিনি। সেখানে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাকে। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় তার পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি এবং তাকে বেশ ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।
গত মে মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য তিনি থাইল্যান্ডে যান। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে যান বলে জানা গেছে। তবে তার হঠাৎ দেশত্যাগ ঘিরে শুরু হয় নানা আলোচনা ও সমালোচনা। পুলিশ সদর দপ্তর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, যারা এই দেশত্যাগে সহযোগীদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আবদুল হামিদ প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। পরে ২০১৮ সালের একই দিনে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি। তার মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এরপর তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জে একটি বাসায় বসবাস শুরু করেন।
এদিকে, ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের সদর মডেল থানায় একটি ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আসামিদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষোভ প্রকাশ করে, যার জেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
Comments
Post a Comment